সৈয়দপুর থানা একটি অনেক পুরাতন থানা। ১৯১৫ সালে সৈয়দপুর থানা প্রতিষ্ঠিত হয়। অধিকাংশদের মতে ভারত বর্ষের কুচ বিহার থেকে আগত মুসলিম সাইয়্যেদ পরিবার প্রথমে এ অঞ্চলে বসবাস শুরু করেন। উক্ত সাইয়্যেদ পরিবারের নামানুসারে প্রথমতঃ সাইয়্যেদপুর পরে সৈয়দপুর নামকরণ করা হয়। বিগত ০৭/১১/৮২ তারিখে মান উন্নীত থানা হিসেবে প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়। এ উপজেলার আয়তন ১২১.৬৮ বর্গ কিঃ মিঃ। ২০০১ সালের আদম শুমারী অনুযায়ী মোট লোক সংখ্যা - ২,৩২,২০৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ-১,২১,৬২৮ জন এবং মহিলা- ১,১০,৫৮১ জন। শিক্ষার হার ৪৮.৫১%। তদানিমতন পূর্ব পাকিস্তান আমলে সৈয়দপুর সিটি টাউন ছিল। কালের চক্রে তাহা বিলুপ্ত হইয়াছে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে সিটি টাউনের চেয়েও কাজে কর্মে জেলা শহরের রুপ নিয়াছে। সৈয়দপুরে বিভাগ পূর্ব ভারত বর্ষের বিহার, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, আসাম, পশ্চিম বাংলা, রাজস্থান, কাশ্মিরের লোকজন স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য এখানে আসিয়া বসবাস করিতেছে। বিভিন্ন ভাষাভাষি লোকের একত্রে বসবাস।
অন্যান্য উপজেলা থেকে সৈয়দপুর একটি ব্যতিক্রমধর্মী উপজেলা । এ উপজেলার অধিকাংশ লোকজন শহর এলাকায় বসবাস করে। মুলতঃ রেলওয়ে কারখানাকে কেন্দ্র করে সৈয়দপুর শহরের গোড়া পত্তন হয়েছিল। এ রেলওয়ে কারখানাটি ১৮৭০ খ্রীঃ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। অধিবাসীদের অধিকাংশই ব্যবসায়ী এবং বিভিন্ন ব্যবসা ও শিল্প কারখানায় দক্ষ শ্রমিক ও কারিগর। এদের উৎপাদিত সামগ্রী দেশ ও বিদেশে সমাদৃত হইয়াছে।
এ শহরে একটি সেনানিবাস এবং বাংলাদেশের একমাত্র ই.এম.ই সেন্টার ও স্কুল আছে। এখানে একটি বিমান বন্দরও আছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি বিভাগ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের একটি উপ-বিভাগ রয়েছে। একটি ছোট আকারে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রও রয়েছে। এখানে একটি বিসিক শিল্প এস্টেট রয়েছে। যেখানে পুরো এলাকা জুড়েই শিল্প কারখানা স্থাপিত হয়েছে এবং বর্তমানে চালু রয়েছে। এ এস্টেট সম্প্রসারণের জন্য ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে জোর দাবী রয়েছে।
রেলওয়েকে কেন্দ্র করে এ শহর গড়ে উঠলেও সময়ের বিবর্তনে এ শহর উত্তরাঞ্চলের অন্যতম প্রধান বানিজ্য কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। পরিবহনের ক্ষেত্রে সৈয়দপুর বৃহত্তর রংপুর, দিনাজপুরসহ ৮টি জেলার করিডোর বা নার্ভ সেন্টার হিসেবে পরিচিত।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস