সৈয়দপুর বিমানবন্দর
ভৌগোলিক অবস্থনগত গুরুত¦ অনুধাবন করে মুক্তিযুদ্ধের সময় পাক হানাদার বাহিনী সৈয়দপুর বিমান
বন্ধরটি গড়ে তোলে। সৈয়দপুর সেনানিবাসের পশ্চিম পাশ ঘেঁষে এটি ণির্মাণ করা হয়। পাকবাহিনীর
নির্দেশে হাজাররো বাঙ্গালীর স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মিত হয় সৈয়দপুর বিমানবন্দর। পরবর্তীতে দেশ স্বাধীনের
পরে ১৯৭৭ সালে সৈয়দপুর ুবিমানবন্দরে বাণিজ্যিক ফ্লাইট উঠানামা শুরু হয়। কালের পরিক্রমায় এ
বিমানবন্দরটির গুরুত্ব বাড়তে থাকে এবং গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ রুট হিসেবে বিবেচিত হয়।বর্তমানে
সৈয়দপুর বিমানবন্দর ১৩৬.৫৯ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত ।বর্তমানে রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬০০০ফুট ও প্রস্থ
৩০০ফুট।অতিসম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার প্রতিবেশি দেশসমূহের সাথে বিমান চলাচলের উপযোগী
করে গড়ে তোলার লক্ষে সৈয়দপুর বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উন্নীতকরণের সিদ্ধান্ত
গ্রহণ করায় প্রায় ৯১২একর জমি অধিগ্রহণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। বর্তমানে এই বিমানবন্দরে
রাষ্টীয় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স(আসনসংখ্যা৭৬), বেসরকারি ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স (আসন
সংখ্যা৭৬)ও নভোএয়ার (আসনসংখ্যা ৬৪)এর মোট ৫টি ফ্লাইট প্রতিদিন সকাল-বিকাল ওঠানামা
করছে।
ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণে রংপুর বিভাগের আটটি জেলার মানুষ এই বিমানবন্দরের সেবা পেয়ে
আসছে।বর্তমানে ঢাকা-সৈয়দপুর রুটে প্রতিদিন নিয়মিত ফ্লাইট চালু থাকায় এই বিমানবন্দরে বিদেশী
অতিথি, পর্যটক, ও ভিআইপিদেরও আনাগোনা বহুলাংশে বেড়ে গেছে ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস